ঢাকর নামকরণের ইতিহাস
24/01/2011 02:53"মসজিদের শহর" বললে য়ার কথা মনে আসে সে হলো ‘ঢাকা’। তাছাড়াও বাংলাদেশের রাজধানী হিসেবে আমরা সবাই তাকে চিনি। প্রায় এক কোটি লোক বসবাস করে এই শহরে। শহর হিসেবেও এটি অতি প্রাচীন। জানা যায় খ্রীষ্টিয় ৭ম শতকেও এর অস্তিত্ব ছিল। ১৬০৮ সালে ঢাকা মুঘল সাম্রাজ্যের অন্তর্গত সুবা বাংলার রাজধানীর মর্যাদা পায়। মূলতঃ তখন থেকেই শহর হিসেবে এর প্রসার এবং শ্রীবৃদ্ধি ঘটে।
ঢাকার নামকরণের ইতিহাস নিয়ে আছে নানান কথা আছে ব্যাপক মতভেদ। কথিত আছে যে, সেন বংশের রাজা বল্লাল সেন বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভ্রমণকালে সন্নিহিত জঙ্গলে হিন্দু দেবী দুর্গার একটি বিগ্রহ খুঁজে পান। দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ রাজা বল্লাল সেন ঐ এলাকায় একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। যেহেতু দেবীর বিগ্রহ ‘ঢাকা’ বা গুপ্ত অবস্থায় খুঁজে পাওযা গিয়েছিল, তাই রাজা মন্দিরের নাম রাখেন ঢাকেশ্বরী মন্দির। এই মন্দিরের নাম থেকেই কালক্রমে স্থানটির নাম ঢাকা হিসেবে গড়ে ওঠে।
আবার অনেক ঐতিহাসিকের মতে, মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীর যখন ঢাকাকে সুবা বাংলার রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন; তখন সুবাদার ইসলাম খান আনন্দের বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ শহরে ‘ঢাক’ বাজানোর নির্দেশ দেন। এই ঢাক বাজানোর কাহিনী লোকমুখে কিংবদন্তির রূপ নেয় এবং তা থেকেই শহরের নাম ঢাকা হিসেবে গড়ে ওঠে। এখানে উল্লেখ্য যে, মোগল সাম্রাজ্যের বেশ কিছু সময় ঢাকা সম্রাট জাহাঙ্গীরের প্রতি সম্মান জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর নামে পরিচিত ছিল।
Tags:
———
Back