হৃদয়ের টানে ছুটে চলি আমরা......

পড়ন্ত বস্তুর সূত্র

23/01/2011 03:02

পদার্থ বিজ্ঞানের যুগান্তকারী আবিষ্কারের একটি হলো পড়ন্ত বস্তুর সূত্র। ১৫৯০ সালে এই সূত্রটি আবিষ্কার করেন ইতালির বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলাই। এই সূত্রটি যখন আবিষ্কৃত হয় তখন গ্যালিলিও ইতালির পিসা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
পড়ন্ত বস্তুর ব্যাপারে মানুষ যুগ যুগ ধরে গ্রীক দাশর্নিক অ্যারিস্টটলের কথা বেদবাক্যের মতো বিশ্বাস করে আসছিলো। অ্যারিস্টটল বলেছিলেন, ‘একই উচ্চতা থেকে দুটি বস্তুকে পড়তে দিলে, ভারী বস্তুটি আগে মাটিতে পড়বে। এরপর পড়বে হালকা বস্তুটি’। অথচ পিসা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গ্যালিলিও ছাত্রদের ব্ললেন, এই তত্ত্বটি সম্পূর্ণ ভুল। দুটি বস্তু একই সময়ে মাটিতে পড়বে। ধীরে ধীরে তার এই কথাটি বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়লো। এই কথা শুনে লোকজন তো রেগে মেগে অস্থির। কত বড় অস্পর্ধা! এতো কাল ধরে যা শুনে এসেছি তা কি মিথ্যা? বলে কি এই আধ-পাগল লোকটা?
গ্যালিলিও রীতিমতো তোপের মুখে পড়লেন। যার তার এই তত্ত্বের বিরোধিতা করল তাদের সবাইকে বললেন, তিনি খুব শীঘ্রই প্রমান করে দেখাবেন তার কথা সত্য। অবশেষে সেই দিনটি এলো।
১৯৫০ সালের একটি দিন।গ্যালিলিও ভিন্ন ভরের কতগুলো বস্তু নিয়ে পিসার সুউচ্চ হেলানো টাওয়ারের উপরে উঠলেন। নিচে জমা হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। সবার মাঝে চাপা উত্তেজনা, আজ পাগলটাকে আচ্ছামতোন জব্দ করা যাবে। কিছু সময় পর গ্যালিলিও সবগুলো বস্তুকে একই সময়ে নিচে ফেললেন। সবার চোখ রীতিমতো ছানাবড়া! হাজার বছরের বিশ্বাস ভেঙ্গেচুড়ে বস্তুগুলো একই সময়ে মাটি স্পর্শ করল, জন্ম নিল পড়ন্ত বস্তুর সূত্র।

HTML Comment Box is loading comments...

free counters
Back

Search site

পরিচালনায়- নাজমুল হাসান >>>> সম্পাদনায়-আরাফাত রহমান রানা

obj=new Object;obj.clockfile="5031-blue.swf";obj.TimeZone="GMT0600";obj.width=145;obj.height=50;obj.wmode="transparent";showClock(obj);