৭৪ এর দুর্ভিক্ষে বাংলাদেশের ছবি দেখুন-কি ভয়াবহ চিত্র
26/02/2011 03:35১৯৭৫ সাল বিশ শতাব্দীর তিন-চতুর্থাংশ উত্তীর্ণ ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বয়স চার। স্বাধীনতার স্বপ্ন, অনাহার আর নৈরাজ্যের দুঃস্বপ্নে ক্রমেই বিলীয়মান হচ্ছে। এই দুর্ভিক্ষের কিছুটা কারণ ৭৪ এর বন্যা ও তার ফলে দেশের বিশাল কৃষিজীবি মানুষের বেকার হয়ে পড়া। এবং যেহেতু খাবারের মজুদ নষ্ট হয়ে গেছে মানুষ দলে দলে শহরের দিকে ছুটে আসছিল খাবারের আশায়। খাবারের অভাব ছিল ঠিকই তবে বছর শুরু হওয়ার সময়ে সরকারী হিসেবেই চল্লিশ লক্ষ টন খাবার ছিল যা প্রায় চার মাস ভালোভাবে চালানোর জন্য যথেষ্ট । খাবার ছিল কিন্তু দাম ছিল মানুষের নাগালের বাইরে।
কিন্তু বিশৃঙ্খলা, কালোবাজারী আর যোগাযোগ ও পরিবহনের ভয়াবহ অভাবের কারণে সেখানেই তাদের বিশাল সংখ্যক অনাহারে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিল মৃত্যুর দিকে। বিপুল খাবার চোরাচালান হয়ে যাচ্ছিল বাইরে। আর লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে যাচ্ছিল খাবারের দাম। মানুষ ছুটছিল রেডক্রসের ভ্রাম্যমান শিবির আর লঙ্গরখানাগুলোর দিকে।
Bangladesh, Nightmare of Famine ছিল ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের ইস্যু ১৯৭৫ জুলাই প্রবন্ধের শিরোনাম। স্টিভ রেইমারের লেখা ও ছবি । ইস্যুটা মূলতঃ পৃথিবীতে খাদ্যাভাব ও জনসংখ্যা বিস্ফোরন নিয়ে। দুঃখজনক ও হৃদয়বিদারক এবং নিতান্ত শীতল রক্তের হৃদয়হীন পাষণ্ড না হলে চোখে জল আনবে সবার। কিন্তু তারপরেও তা ইতিহাস, নির্মম ইতিহাস, জানা দরকার সবারই। তখন দেশের জনসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি আর আমরা যেভাবে জনসংখ্যা বাড়াচ্ছি (প্রার্থনা করি এমন না হোক) হতে পারে আরো ভয়ংকর দিন আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
বাংলাদেশ ১৯৭৫, দুঃস্বপ্নের প্রতিচ্ছবি-নিঃসঙ্গ বাজপাখি
(বেশি সংবেদনশীল মনের অধিকারী বা বিষণ্নতায় ভুগছেন এমন পাঠক দয়া করে লেখাটি এড়িয়ে যান)
১৯৭৫ সাল
বিশ শতাব্দীর তিন-চতুর্থাংশ উত্তীর্ণ ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বয়স চার। স্বাধীনতার স্বপ্ন, অনাহার আর নৈরাজ্যের দুঃস্বপ্নে ক্রমেই বিলীয়মান হচ্ছে। এই দুর্ভিক্ষের কিছুটা কারণ ৭৪ এর বন্যা ও তার ফলে দেশের বিশাল কৃষিজীবি মানুষের বেকার হয়ে পড়া। এবং যেহেতু খাবারের মজুদ নষ্ট হয়ে গেছে মানুষ দলে দলে শহরের দিকে ছুটে আসছিল খাবারের আশায়। খাবারের অভাব ছিল ঠিকই তবে বছর শুরু হওয়ার সময়ে সরকারী হিসেবেই চল্লিশ লক্ষ টন খাবার ছিল যা প্রায় চার মাস ভালোভাবে চালানোর জন্য যথেষ্ট । খাবার ছিল কিন্তু দাম ছিল মানুষের নাগালের বাইরে।
কিন্তু বিশৃঙ্খলা, কালোবাজারী আর যোগাযোগ ও পরিবহনের ভয়াবহ অভাবের কারণে সেখানেই তাদের বিশাল সংখ্যক অনাহারে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিল মৃত্যুর দিকে। বিপুল খাবার চোরাচালান হয়ে যাচ্ছিল বাইরে। আর লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে যাচ্ছিল খাবারের দাম। মানুষ ছুটছিল রেডক্রসের ভ্রাম্যমান শিবির আর লঙ্গরখানাগুলোর দিকে।
Bangladesh, Nightmare of Famine ছিল ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের ইস্যু ১৯৭৫ জুলাই প্রবন্ধের শিরোনাম। স্টিভ রেইমারের লেখা ও ছবি । ইস্যুটা মূলতঃ পৃথিবীতে খাদ্যাভাব ও জনসংখ্যা বিস্ফোরন নিয়ে। দুঃখজনক ও হৃদয়বিদারক এবং নিতান্ত শীতল রক্তের হৃদয়হীন পাষণ্ড না হলে চোখে জল আনবে সবার। কিন্তু তারপরেও তা ইতিহাস, নির্মম ইতিহাস, জানা দরকার সবারই। তখন দেশের জনসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি আর আমরা যেভাবে জনসংখ্যা বাড়াচ্ছি (প্রার্থনা করি এমন না হোক) হতে পারে আরো ভয়ংকর দিন আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
১৯৭৫ জুলাই ইস্যু:
১. একটি কঙ্কালসার শিশু ত্রাণ শিবিরের দিকে তাকিয়ে আছে
২. ট্রেনে চেপে শহরে আসছে উদ্বাস্তু মানুষ
৩. জীবন ও মৃত্যু যখন ত্রাণ শিবিরের একটি চাপাতির উপর নির্ভরশীল
৪. কার্ড হাতে রেডক্রস শিবিরে সামনে নিঃস্ব ও ক্ষুধার্ত মানুষের ভীড়
৫. স্টেশন চত্বরে, এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে জন্ম নিল আরো একটি শিশু
৬. লুট হবার আশংঙ্কা ঠেকাতে রক্ষীবাহিনীর সশস্ত্র প্রহরায় চালভর্তি ট্রাক পাঠানো হচ্ছে। প্রায়ই হামলা হতো এসব ট্রান্সপোর্ট
পূর্বেপ্রকাশিত দরিদ্র.কম
Tags:
———
Back